কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় প্রবাল (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুর্জয় মোড়ের সরদার হোটেলের নিচতলায় তালাবদ্ধ সাকিল মটরস নামে একটি দোকানের ভেতর থেকে পুলিশ মরদেহটি দেখতে পায়।
নিহত প্রবাল উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত মাতৃকা (প্রা.) হাসপাতালের মালিক হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তার বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর গ্রামে। তবে তারা হাসপাতালের ওপর তলার বাসায় বসবাস করেন।
পুলিশ জানায়, প্রবালকে দুর্জয় মোড় থেকে অন্তরসহ কয়েকজন ধরে নিয়ে যায়। পরে সর্দার হোটেলের পেছনে নিয়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে মরদেহ ওই দোকানে রেখে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থাননীয়রা জানায়, অন্তরকে রক্তমাখা জামা ও ধারালো অস্ত্র হাতে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। প্রবালকে অন্তরই হত্যা করে থাকতে পারে। তবে কী কারণে প্রবালকে খুন করা হয়েছে তা কেউ বলতে পারেনি।
লাশের সঙ্গে একটি খালি বস্তাও পায় পুলিশ। তবে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকারীরা লাশটি গুম করতে বস্তা এনেছিল। গুম করতে না পেরে হত্যাকারীরা শরীরে রক্তমাখা কাপড়ে মানুষের সামনে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা রাত পৌনে ৯টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করেন। নিহত প্রবালের ভাই শৈবাল বলেন, আমার ছোট ভাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তির অপেক্ষায় ছিল। সে আজ বিকালে বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেনি। পরে ঘটনার খবর পাই।
ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন জানান, প্রবালকে কে বা কারা হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। সিআইডির ক্রাইম সিনকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে প্রাথমিক আলামত পরীক্ষার পর লাশ থানায় নেওয়া হবে। পরে ঘটনা তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টাইমস/এসজে